বাংলাদেশ এই মুহূর্তে গভীর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা সহ দেশের একাধিক এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা সামনে এসেছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে এবং সবচেয়ে উদ্বেগজনকভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বাংলাদেশের বর্তমান অশান্তির পেছনে নাকি সক্রিয় রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি ও গোয়েন্দা চক্র।
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে হওয়া এক কথোপকথনের ভিডিও থেকে এই তথ্য সামনে এসেছে। ওই ভিডিওতে ভারতের বিরুদ্ধে একটি নতুন কৌশল বা ‘ফ্রন্ট’ খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতের পূর্ব সীমান্তে অস্থিরতা ছড়ানোর ছক কষা হয়েছে। অভিযোগ, এই উদ্দেশ্যে কিছু জঙ্গি সহযোগীকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, যাদের কাজ স্থানীয় যুবকদের উস্কানি দেওয়া ও চরমপন্থার দিকে ঠেলে দেওয়া।
এর আগেও পাকিস্তানের এক জনসভায় লস্কর-ই-তৈবার এক কমান্ডার প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন যে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি চলছে। সেই বক্তব্যের ভিডিও সম্প্রতি সামনে আসায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, এই ধরনের উগ্র বক্তব্যের অনুষ্ঠানে শিশুদের উপস্থিতি যা ইঙ্গিত দেয়, চরমপন্থী সংগঠনগুলি ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের মধ্যেও মৌলবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব ঘটনা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্যই বড় হুমকির বার্তা বহন করছে।
- Log in to post comments