জাতীয় মঞ্চে লড়াই, ট্রেনে অপমান-কনফার্মড টিকিট ছাড়াই শৌচাগারের পাশে সফর কিশোর কুস্তিগিরদের

জাতীয় মঞ্চে লড়াই, ট্রেনে অপমান-কনফার্মড টিকিট ছাড়াই শৌচাগারের পাশে সফর কিশোর কুস্তিগিরদের

ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ, আগামী দিনে যাদের হাত ধরেই আসতে পারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক। অথচ সেই কিশোর-কিশোরীদেরই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে চরম অবমাননাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল। ট্রেনে বসার জায়গা তো দূরের কথা, ঠাঁই মিলেছে শৌচাগারের পাশে দুর্গন্ধ আর ঠাসাঠাসির মধ্যে।

উত্তরপ্রদেশে আয়োজিত ৬৯তম জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ওড়িশা থেকে গিয়েছিলেন ১৮ জন পড়ুয়া কুস্তিগির এর মধ্যে ১০ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়ে। অভিযোগ, যাতায়াতের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের স্কুল ও গণশিক্ষা দফতর তাঁদের জন্য ট্রেনের কনফার্মড টিকিটের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়। ফলে শীতের রাতে সাধারণ কামরায় দাঁড়িয়ে বা শৌচাগারের পাশে বসেই তাঁদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। প্রতিযোগিতা শেষে ফেরার পথেও একই দুর্ভোগের শিকার হন তাঁরা।

সোমবার এই যাত্রার ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া পড়ুয়াদের কেন এমন অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে সফর করতে হল তা নিয়ে তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জোরালো হয়েছে।

জানা গেছে, স্কুল ও গণশিক্ষা দফতরের নির্দেশ পেয়েই চারটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যায়। অভিযোগ উঠেছে, দলের ম্যানেজার টিকিট কনফার্ম করেননি। বিষয়টি এক জন মন্ত্রীকে জানানো হলেও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে। এক অভিভাবকের বক্তব্য, স্টেশনে এসে তাঁরা জানতে পারেন, কারও টিকিট কনফার্ম নয়। বাধ্য হয়েই খেলোয়াড়, কোচ এবং শিক্ষকরা শৌচাগারের পাশেই যাত্রা করেন।

এই ঘটনার পরেও এখনও পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে কিশোররা দেশের হয়ে গর্ব বয়ে আনতে পারে, তাদের সুরক্ষা ও সম্মানের দায়িত্ব কার?

Category