বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই ছায়ানটে হামলার ঘটনায় আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় এই মামলা নথিভুক্ত হয়। ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুলিশ।
এরই মধ্যে বাংলাদেশজুড়ে উত্তেজনা পুরোপুরি কাটেনি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। শনিবার দাফন সম্পন্ন হয়েছে নিহত যুবনেতা ওসমান হাদির। তাঁর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কূটনৈতিক স্তরেও। চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সেখানে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার চেষ্টার ঘটনার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ, ২১ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে, সিলেটে অবস্থিত ভারতীয় উপদূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করেছে মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ১১ জনকে আটক করা হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট ভারতীয় স্থাপনাগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
- Log in to post comments