ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রভাব এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। ফের একবার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর 2.0’-এর ভয়ে একাধিক সেক্টরে আধুনিক কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন শুরু করেছে পাক সেনা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাওয়ালাকোট, কোটলি ও ভিম্বর সেক্টরে নতুন অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট বসানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, LoC বরাবর ৩০টিরও বেশি অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ইউনিটগুলির মূল কাজ আকাশপথে নজরদারি, ড্রোন শনাক্তকরণ এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
পাকিস্তান যে সিস্টেমগুলি ব্যবহার করছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
1. স্পাইডার কাউন্টার-UAS সিস্টেম: রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ড্রোন শনাক্ত করতে সক্ষম। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ছোট ও বড়-দু’ধরনের ড্রোনই ধরতে পারে।
2. সাফরা অ্যান্টি-UAV জ্যামিং গান: কাঁধে বহনযোগ্য এই অস্ত্র ১.৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনের কন্ট্রোল, ভিডিও ও GPS সিগন্যাল অচল করতে পারে।
3. ওরলিকন GDF 35 মিমি টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান: রাডার-সমর্থিত এই বন্দুক আকাশ প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
4. আঞ্জা Mk-II ও Mk-III MANPADS: নিচু উচ্চতায় উড়তে থাকা ড্রোন ধ্বংসে সক্ষম।
এদিকে সূত্রের দাবি, পাকিস্তান এখনও চিন ও তুরস্কের সঙ্গে নতুন ড্রোন এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংঘাতের কথা মাথায় রেখেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় সেনা সম্প্রতি পশ্চিম সীমান্তে স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া বাড়িয়েছে। এই সামরিক তৎপরতাই ইসলামাবাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
LoC বরাবর দ্রুতগতিতে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন থেকেই স্পষ্ট ভারতীয় ড্রোন হামলার সম্ভাবনা নিয়ে গভীর আশঙ্কায় ভুগছে পাকিস্তান। ‘অপারেশন সিঁদুর 2.0’ কি সত্যিই আসন্ন? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা মহলে।
- Log in to post comments