হিদমার পর এবার নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য। ওড়িশার কান্ধামাল জেলায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিহত হল শীর্ষ নেতা গণেশ উইকে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মোট চারজন মাওবাদী সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাওবাদী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গণেশ উইকে, যার মাথার উপর ১.১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গণেশ উইকে ওড়িশায় মাওবাদী সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে পুলিশের নজরদারিতে ছিল এবং রাজ্যে সংগঠনের কার্যকলাপ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, অস্ত্র সরবরাহ এবং তোলাবাজির মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল।
নকশাল বিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক জানান, জঙ্গলে কয়েকজন মাওবাদীর উপস্থিতির নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর যৌথ বাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় মাওবাদীরা হঠাৎ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা জবাবে বাহিনীও গুলি চালালে সংঘর্ষে চার মাওবাদী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে গণেশ ছাড়াও আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা এবং দুই মহিলা সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, গণেশ উইকে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওড়িশা–ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র করিডোরে সক্রিয় ছিল। সশস্ত্র স্কোয়াড পরিচালনা, নতুন সদস্য নিয়োগ এবং সংগঠনের বিস্তার সবই তার তত্ত্বাবধানে চলত। সে নিয়মিত অবস্থান বদল করত, যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়ানো যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় সংঘর্ষে এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী নিহত হয়। রাজ্য সরকারের দাবি, গত দু’বছরে সেখানে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সমস্যা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যেই মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামারাজু জেলায় অভিযানে শীর্ষ মাওবাদী নেতা হিদমাকে খতম করা হয়েছিল। গণেশ উইকের মৃত্যুতে ফের একবার বড় সাফল্যের দাবি করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
- Log in to post comments