“I Have a Plan” বললেন তারেক রহমান! দিল্লির জন্য কী বার্তা, কোন পথে হাঁটতে চায় BNP?

“I Have a Plan” বললেন তারেক রহমান! দিল্লির জন্য কী বার্তা, কোন পথে হাঁটতে চায় BNP?

১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই তাঁর দেশে ফেরার জল্পনা জোরদার হয়েছিল। অবশেষে দেশে ফিরে প্রথম জনসভাতেই তিনি ঘোষণা করেন,  “I have a plan”।

এই বক্তব্য ঘিরেই এখন প্রশ্ন উঠছে তারেকের সেই পরিকল্পনা কী? ২০২৬ সালের পর যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোন দিকে যাবে? সেই কারণেই তারেকের বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নয়াদিল্লি।

শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বাংলাদেশে জামাতের প্রভাব বৃদ্ধি এবং পাকিস্তানঘেঁষা রাজনীতির জোরালো উপস্থিতি ভারতবিরোধী আবহ তৈরি করেছে। ঠিক এমন সময়ে তারেক রহমানের দেশে ফেরা এবং তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

দেশে ফেরার পরই তারেক জানান, তাঁর রাজনীতির মূল ভিত্তি হবে “বাংলাদেশ ফার্স্ট”। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ কোনও দেশকেই অগ্রাধিকার দেবে না না ভারত, না পাকিস্তান। তাঁর কথায়,
“না দিল্লি, না পিন্ডি সবার আগে বাংলাদেশ।”

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারেকের মতে, নির্বাচনে জয়ী না হয়ে কোনও সরকার দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করতে পারে না।

জামাতের মতো চরমপন্থী শক্তির বিরুদ্ধেও সরব হন বিএনপি নেতা। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষ অতীতে সেই শক্তিগুলোর আসল চেহারা দেখেছে, যারা শুধু গণহত্যাই চালায়নি, অসংখ্য নারীকে নির্যাতনের শিকার করেছিল। সেই ইতিহাস ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুর্গাপুজোর আগে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশেও বার্তা দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, হিন্দু ভাই-বোনেরা যেন শান্তি, নিরাপত্তা ও উৎসাহের সঙ্গে তাঁদের উৎসব পালন করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জামাতের তুলনায় বিএনপি তুলনামূলকভাবে কম চরমপন্থী হলেও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি অত্যন্ত অনিশ্চিত। ভবিষ্যতে কোন সমীকরণ তৈরি হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে তারেক রহমানের বক্তব্য যে দিল্লির নজরে রয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Category