জুবিন ইস্যুতে সরকারকে তীব্র আক্রমণ গৌরব গগৈর, হিমন্তকে নিশানা করে বিস্ফোরক অভিযোগ

জুবিন ইস্যুতে সরকারকে তীব্র আক্রমণ গৌরব গগৈর, হিমন্তকে নিশানা করে বিস্ফোরক অভিযোগ

প্রখ্যাত শিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যুকাণ্ড ঘিরে দায়ের হওয়া চার্জশিট নিয়ে ফের রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে অসমে। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তাঁর অভিযোগ, এই চার্জশিট কোনওভাবেই ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে নয়, বরং এটি প্রয়াত শিল্পীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার একটি পরিকল্পিত প্রয়াস।

১৯ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে গৌরব গগৈ দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্যই হল জুবিন গর্গের সামাজিক মর্যাদা ও উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করা। তাঁর কথায়, জুবিন গর্গ অসমের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের এক উজ্জ্বল প্রতীক, এবং কোনও রাজনৈতিক শক্তিকেই তাঁর লেগাসি নষ্ট করতে দেওয়া যায় না। গগৈ আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রয়োজনে প্রয়াত শিল্পীর পরিবার ও অনুরাগীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেও পিছপা হচ্ছে না।

এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন মামলাটিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-এর তরফে সিবাসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচাই না করা কিছু নথি প্রকাশ করে তিনি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছেন। এক শীর্ষ প্রশাসনিক সূত্রের মতে, এই ধরনের কাজ আইনবিরোধী এবং মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

অখিল গগৈ অবশ্য জানিয়েছেন, চার্জশিট সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি গুয়াহাটি গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন বলেও মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কামরূপ (মেট্রো) জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে SIT-এর নয় সদস্যের তদন্তকারী দল চার্জশিট জমা দেয়। চার্জশিটে জুবিন গর্গের সচিব সিদ্ধার্থ শর্মা, অনুষ্ঠান আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, এবং ব্যান্ডের দুই সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমৃতপ্রভা মহন্তর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে গৌরব গগৈর দাবি, এই চার্জশিট আইনি দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল এবং এটি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে আড়াল করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যাঁদের নাম থাকা উচিত ছিল, তাঁরা রহস্যজনকভাবে চার্জশিট থেকে বাদ পড়েছেন। এই কারণেই জুবিন গর্গ প্রকৃত ন্যায়বিচার পাবেন কি না, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

Category