আজ প্রকাশিত হতে চলেছে খসড়া ভোটার তালিকা। এর পর আগামীকাল থেকেই শুরু হবে SIR (Special Intensive Revision)-এর হিয়ারিং পর্ব। এই সময়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে কিছু নির্দিষ্ট ভোটারকে ডেকে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করা হবে। নির্ধারিত নথি দেখাতে পারলেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম বহাল থাকবে।
এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন—
যেসব ভোটারের নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নেই, তাঁদের অতিরিক্ত যাচাইয়ের জন্য হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে। সেক্ষেত্রে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে।
যদি ভোটারের পাশাপাশি তাঁর বাবা-মা বা ঠাকুমা-ঠাকুরদার নামও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকে, তাহলে সেই ভোটারকেও হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে। আধার ছাড়া অনুমোদিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি দেখালেই নাম বহাল থাকবে।
যাঁরা SIR ফর্ম পূরণ করার সময় ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন, তাঁদের কমিশন ডেকে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। হিয়ারিংয়ে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ জমা দিতে হবে।
কিছু ফর্ম এমনভাবে পূরণ করা হয়েছে, যা বিএলও (BLO) বা ইআরও (ERO)-র পক্ষে বোঝা কঠিন হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রেও হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে।
কমিশন জানিয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে ভোটারের বয়সের ব্যবধান যদি ১৫ বছর বা তার বেশি হয়, তাহলে অতিরিক্ত যাচাইয়ের জন্য হিয়ারিং হতে পারে।
নথি বা তথ্যে যদি কমিশনের কোনও সন্দেহ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, হিয়ারিং নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আগেভাগে প্রয়োজনীয় নথি গুছিয়ে রাখুন। নিজের দাবির পক্ষে সঠিক প্রমাণ দেখাতে পারলেই সমস্যার সমাধান সহজেই হবে।
সব ঠিক থাকলে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আপনার নাম নিশ্চিতভাবেই থাকবে।
- Log in to post comments